মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ পশ্চিমা কনকনে হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে এখন শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা গাইবান্ধা। দু’দিন থেকে হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশা পড়তে শুরু করে। সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে গোটা গাইবান্ধা জেলা। তাপমাত্রা দিনের বেলা ২০ থেকে ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে থাকলেও রাতে তা নেমে আসে ১৫ ডিগ্রীর নীচে। সেই সাথে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। শীতের কারণে গোটা জেলার গরীব মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তায় লোক চলাচল কমে যায়। শীতের কবল থেকে বাঁচতে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
গাইবান্ধা অঞ্চলে হঠাৎ করে গত রোববার সকাল থেকে পশ্চিমা কনকনে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। হঠাৎ করে শীত শুরু হওয়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঝড়েছে কুয়াশা। ফলে শীতের তীব্রতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। দুপুরের পর থেকেই জুবুথুবু হয়ে পড়ে এ অঞ্চলের মানুষ। জেলার চরাঞ্চলগুলোর মানুষ ও গবাদি পশুর অবস্থা ভয়াবহ। হঠাৎ শুরু হওয়া এই শীতে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রিত এবং চরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগের কবলে পড়ে। শীতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছে বেশি।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, কুয়াশার কারণে সরিষা ক্ষেতের ফুল ঝরে পড়ছে এবং বীজতলায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য রবি ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করছে কৃষিবিভাগ। জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীপথে নৌ চলাচল বিঘিœত হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষ বিপাকে পড়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরাঞ্চলের মানুষরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে অনেকে দিনের বেলায় গাড়ির হেডলাইড জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে জেলার গ্রামীণ জনপদ এবং যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও নদী তীরবর্তী এলাকার দুুঃস্থ পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভীড়। এই সুযোগে গাউন মার্কেট ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়িরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লেপ তোষক বানানোরও হিড়িক পড়েছে।